পুরুষ মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন তুলনামূলক কম স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না নারীদের মতো কারন তারা সবসময়ে কর্ম জীবন নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।
আর এই ব্যাস্ত থাকার মাঝেই তাদের স্বাস্থ্যের কিছু ক্ষতি হয়ে যায় তাদের অজান্তে বিশেষ করে যারা অফিসিয়াল কাজ করে। তাদের ওজন বৃদ্ধি, হ্রদরোগ,ডায়বেটিস, পেশী ও হাড়ের সমস্যা, মানসিক চাপ ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সুস্থ সুন্দর জীবন গড়তে পুরুষের দৈনিক কারনীও আসুন জেনে নেই: শরীরের ওজন কমাতে এবং ফিট রাখতে দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত যা সবচেয়ে কার্যকরী উপায় যেমন হাটাহাটি করা,সাইকেল চালানো,সাঁতার কাটা,দৌড়ানো ইত্যাদি।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের ওজন কমাতে এবং ফিট রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা প্রচুর পরিমাণে সবজি, ফল এবং শস্যদানা রাখা উচিত এই খাবার গুলোতে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার এবং শস্যদানাতে রয়েছে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে শক্তি জোগায় এছাড়াও প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি যা পেশী গঠন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
কিছু খাবার আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য এড়িয়ে চলা উচিত যেমন :
- প্রক্রিয়াজাত খাবার এতে চিনি, লবণ এবং খারাপ চর্বি বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- ফাস্ট ফুড খেলে ওজন বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর।
- খারাপ চর্বি খেলে হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে।
- অতিরিক্ত চিনি না খাওয়া উত্তম এতে ডায়বেটিস বাড়ায়।
প্রতিদিন কোন কোন সময়ে খাবার খাওয়া উচিত
সকালের নাস্তা ৭-৯ টারয় মধ্যে খাওয়া এবং যা যা খাওয়া উচিত নাস্তায় যেমন : ফল,শাকসবজি,ডিম,দুধ,দই,ছানা,বাদাম বিজ ইত্যাদি।
প্রতিদিন দুপুরে যা খাওয়া উচিত
দুপুরে খাবার ১২-২ টার মধ্যে খাওয়া উত্তম
খাবার তালিকায় যা রাখতে পারেন মাছ,মাংস, ভাত,আলু,পাস্তা, সালাদ, শাকসবজি, ফল,বাদাম এবং বিজ।
প্রতিদিন রাতের খাবার ৭-৯ টার মধ্যে খাওয়া উচিত
রাতের খাবারে যা যা খাবেন মাছ, স্যুপ,শাকসবজি, সালাদ রাত তরল বা সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুন.....
ডাবের পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
পুরুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে উপরের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি প্রাণ করুন,পর্যাপ্ত ঘুমান, নিয়ম স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন এবং শরীর চর্চা, খেলাধুলা করুন করুন।
সতর্কতা: এটি কোন ডাক্তারের বিকল্প চিকিৎসা নয় শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
তথ্য সূত্র : বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।
